“মা” কে
জন্ম দিলে আমায় ; তোমারও নব জন্ম হল।
মা হ’লে তুমি ! কত সুখী !
কষ্ট কি পেলে না মাগো ?
সৃষ্টি- সুখের মাতন ? নাকি সৃষ্টির যন্ত্রণা ?
হায় ! মাতৃত্বের সুখ কত বড় ?
এত যন্ত্রণাকেও অস্বীকার করা যায় !
তারপর বেড়ে ওঠা।
পলেপলে বড় হওয়া…আত্মজাকে জড়িয়ে সুখের সাগরে ভাসা…
দুঃখ কি ছিলনা মাগো ? আশঙ্কা ? ভয় ? স্বস্তি কি ছিল মনে ?
তবুও সুখ ? …ভালবাসা কত বড় ?… কত বড় ?
এত ভয়কেও জয় করা যায় ?
সুখের আশায় বাতাসের মুখে আড়াল ক’রে
প্রদীপ- শিখা কে বাঁচিয়ে দিলে মাগো !
সে প্রদীপ দেয় শুধু আলো ? দেয় নাকি জ্বালা ?
হেঁসেল-ঠেলা মা আমার ! কিচ্ছুটি জাননা !
অভিযোগ নেই , অভিমান থাকলেও বুঝতে দাওনি কখনো !
আমাদের পৃথিবীটা পৌঁছে গেল কোথায় !
আর তুমি ?
পা-পোষের মত নিচেই রইলে প’ড়ে
শুধু সুখ দেবার জন্য ; নেবার জন্য নয় !
অথচ এমন তো হওয়ার কথা ছিলনা মাগো !
তুমি যদি সইলে এত, নামলে গলা জলে-
আমি কেন পারিনা মা পা টুকু ভেজাতে !
আজ দেখি প’ড়ে আছ বিছানায়
চলৎশক্তি হীন, সুখের আশাও মরে গেছে কবে !
চোখ দুটো শুধু জেগে থাকে
সতর্ক হয়ে ওঠে পেলে পায়ের শব্দ !
বাঁচতে চাওনা ; তবু বাঁচতে হয় অন্যের ভরসায় ।
আমার যে সময় নেই মাগো তোমাকে দেখার !
কত কাজ প’ড়ে আছে এলে-বেলে , অদরকারী…
সব কিছুরই সময় হবে ; কষ্ট ক’রেও সময় দেব
শুধু সময় হবেনা তোমার কাছে আসার !
তুমি যে মা ! অস্বীকার তো তোমাকেই করা যায় !
“বালাই ষাট ! মেয়েটাকে ভাল রেখো ঠাকুর !
ওযে বড় অসহায়” !
কেন মাগো ? ভাবো…নিজের কথা ভাবো এবার…
সুখের মুখে উড়িয়ে দিয়ে ছাই ।
আজ দেখি প’ড়ে আছ বিছানায়
চলৎশক্তি হীন, সুখের আশাও মরে গেছে কবে !
চোখ দুটো শুধু জেগে থাকে
সতর্ক হয়ে ওঠে পেলে পায়ের শব্দ !
বাঁচতে চাওনা ; তবু বাঁচতে হয় অন্যের ভরসায় ।
আমার যে সময় নেই মাগো তোমাকে দেখার !
কত কাজ প’ড়ে আছে এলে-বেলে , অদরকারী…
সব কিছুরই সময় হবে ; কষ্ট ক’রেও সময় দেব
শুধু সময় হবেনা তোমার কাছে আসার !
তুমি যে মা ! অস্বীকার তো তোমাকেই করা যায় !
“বালাই ষাট ! মেয়েটাকে ভাল রেখো ঠাকুর !
ওযে বড় অসহায়” !
কেন মাগো ? ভাবো…নিজের কথা ভাবো এবার…
সুখের মুখে উড়িয়ে দিয়ে ছাই ।