ভ্রাম্যমান রেলে কবিবন্দনা
চৈত্রশেষের এক সুন্দর ঝলমলে সকালে কোচবিহার স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে আনমনাভাবে পায়চারি করছিলেন নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত কমার্শিয়াল সুপারভাইজার-'প্রান্তিক'নাট্যগোষ্ঠীর কর্ণধার শ্রী স্বপন দত্ত।নাটকের সাথে দ্বিতীয় গাঁটছড়াটা বাঁধার দরুণ যাঁর মননে সারাক্ষণই সৃজনশীল নানা এলোমেলো ভাবনা-চিন্তা হেঁটে চলে বেড়ায়।আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে আসা বামনহাট গামী ট্রেনটি যখন হু হু করে প্ল্যাটফর্ম ছাড়িয়ে ছুটে চলে,তখনই তার মাথায় হঠাৎ ঝলকানি দেয় নতুন কিছু করার অদম্য ইচ্ছে-ভ্রাম্যমান রেলগাড়ীর বুকে ১৫৩-তম রবীন্দ্র-জয়ন্তী উৎসব পালন করা।উত্তরবঙ্গে সর্বপ্রথম এই সুন্দর প্রয়াসকে সফল করবার জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষও তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।যাঁদের তত্ত্বাবধানে ট্রেনের একটি পুরো কামরাই শ্রী দত্ত মহাশয়কে খালি করে দেওয়া হয় তাঁর প্রস্তুতিপর্বকে সার্থক রূপ দেবার জন্য।সমস্ত কামরাটিকে ফুল,মালা ও রবীন্দ্রনাথের নানা বয়সের প্রতিকৃতি দিয়ে সাজিয়ে একগুচ্ছ কচিকাঁচা ও জনা চল্লিশেক অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের নিয়ে শুরু হলো দুরুদুরু বক্ষে রেলযাত্রা-নিউকোচবিহার থেকে বামনহাট।পথের বুকে দোদুল্যমান রেলগাড়ীর কামরায় যখন শুরু হয় উদ্বোধনী সঙ্গীত-'আলোকের এই ঝর্ণাধারায় ধুইয়ে দাও' সমস্ত পরিবেশে যেন
এক স্নিগ্ধ সুধারস নেমে আসে।
এই সুন্দর ও উপভোগ্য অনুষ্ঠানটিকে সাফল্যের রূপ দিতে যাঁরা বিভিন্ন বিভাগে অংশগ্রহণ করেছেন তাঁদের নাম উল্লেখ না করলে এই লেখাটির 'মধুরেণ সমাপয়েৎ' হবে না।
কচিকাঁচা - জিনি ভৌমিক,সেঁজুতি ভৌমিক ।
আবৃত্তি - চঞ্চল সেন, কাবেরী নাগ, সেজুঁতি ভৌমিক।
সঙ্গীত - রমা দত্ত,কাবেরী নাগ, চঞ্চল সেন, চুমকী ভৌমিক,ভাস্বতী নাগ,সুদীপ্তা বাগচী, সুস্মিতা দাশগুপ্ত । নৃত্য - ভাস্বতী নাগ,সুদীপ্তা বাগচী, সম্পূর্ণা কর, দীপান্বিতা কর।
নাটক - 'ছাত্রের পরীক্ষা'
কুশীলব - ওম মাহাতো, জয় চক্রবর্ত্তী, অনিল রায় ।
নাট্য পরিচালনা-শ্রী স্বপন দত্ত।
WHAT'S HAPPENING
শ্রী স্বপন দত্ত